আগামী ১০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই কার্যক্রম চলবে ১৫ দিন। এবারের শুমারিতে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পরপর এমন শুমারি করে বিবিএস। ইতোমধ্যেই প্রচারসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষ করেছে সংস্থাটি।
অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪’ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি অনলাইনে আবেদন apply online
Like On Our Facebook Page
আমেরিকান ডিভি লটারিতে ১৮-৪০ বছর বয়সীদের জন্য ২০২৪/২৫ এ বাংলাদেশ থেকে আবেদন শুরু হয়েছে! বিনামূল্যে আবেদনের লিঙ্কঃ
আমেরিকা ভিসা পাবার সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া
কানাডা ভিসা প্রসেস খুব সহজেই ঘরে বসে
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অল্প খরচে
দক্ষিন কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সুল্ভ মুল্ল্যে
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২৭-২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের এ প্রশিক্ষণে পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভাগীয় ও জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং মনিটরিং কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ নিচ্ছেন। এসময় প্রকল্পের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান প্রচার ও প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিভাগীয় ও জেলা শুমারি
তিনি জানান, এবারের অর্থনৈতিক শুমারিতে ৬৫টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ‘ক্যাপি’ পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার শুমারিতে প্রথমবারের মতো দেশে কয়েকজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কত জন কর্মরত আছেন এবং এদের নারী-পুরুষ কত জন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।
পরিসংখ্যার ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুল হক। উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।
বাংলাদেশের সকল সরকারি, বেসরকারি, ব্যাংক, বীমা এনজিও চাকরির অফিশিয়াল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষার খবর এবং সকল রেজাল্ট একসাথে পেতে চাইলে এই পেজ এ লাইক দিয়ে রাখুনঃ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি- অফিশিয়াল
শুমারির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিবিএসর সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সদস্য এবং স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে শুমারির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা শুমারির সফল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার বলেন, এই প্রশিক্ষণের দিকনির্দেশনা শুমারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের দায়িত্ব পালনে আরও সক্রিয় করবে। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারি
তিনি জানান, চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা শুমারি সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণ, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে জোনাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং তালিকাকারীদের প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রচার ও অন্যান্য কার্যক্রমও শেষ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বিবিএসের কর্মকর্তারা প্রতিটি ধাপে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবারের অর্থনৈতিক শুমারি তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য প্রচার-প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
অর্থনৈতিক শুমারি (Economic Census)
অর্থনৈতিক শুমারি (Economic Census) হলো একটি পরিসংখ্যানগত কার্যক্রম যেখানে একটি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও নথিভুক্ত করা হয়। এই শুমারি সাধারণত বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক কার্যক্রম, যেমন উৎপাদন, বাণিজ্য, সেবা খাত, এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং কার্যক্রমের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরতে সাহায্য করে।
অর্থনৈতিক শুমারির উদ্দেশ্য:
- অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা: সরকার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নের জন্য শুমারির তথ্য ব্যবহার করে।
- অর্থনৈতিক প্রবণতা নির্ধারণ: অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বৃদ্ধি ও পরিবর্তন পরিমাপ করা।
- ব্যবসায়িক পরিকল্পনা: বিনিয়োগকারীদের এবং উদ্যোক্তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করা।
- আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানের সাথে সামঞ্জস্য: জাতীয় অর্থনৈতিক তথ্যকে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে তুলনীয় করা।
সংগ্রহকৃত তথ্যের ধরন:
- ব্যবসা ও শিল্পের ধরন
- কর্মসংস্থান ও কর্মীদের সংখ্যা
- প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ও ব্যয়
- উৎপাদিত পণ্য বা সেবার প্রকার ও পরিমাণ
- প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান এবং আকার
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক শুমারি:
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) দেশের অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করে। প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই শুমারি পরিচালিত হয়েছে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বোঝার এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সকল ধরনের চাকরির খবর এবং যে কোন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল সাইটে ।